সাদাকা টিপসঃ

১. একটি জায়নামাজ কিনে মসজিদে রেখে দিন, যে ব্যক্তি তাতে নামাজ আদায় করবে, ইনশাআল্লাহ আপনি সেই আমলের জন্য পুরস্কৃত হবেন।

২. একটি বাটি বা গ্লাসে কিছু পানি আপনার জানালায় রেখে দিন পাখিদের জন্য; এটাও এক ধরনের সদকা। এটিকে অভ্যাসে পরিণত করুন। আপনি পুরস্কৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।

৩. আপনার পুরাতন অথবা ব্যবহার হচ্ছে না এমন পোশাক গরিবকে দান করুন। সুযোগ থাকলে নতুন জামা যেদিন কিনবেন, সেদিনই এক সেট পুরাতন জামা দান করুন।

৪. আপনার রুমে একটি বক্স রাখুন এবং যখনই আপনি মনে করবেন যে আপনি কোনো অন্যায় করেছেন, তখনই তাতে সাধ্যমতো টাকা-পয়সা রাখুন। মাস শেষে তা খুলে দেখুন এবং তা দান করে দিন। এতে নিজের ভুলগুলোর পরিমাণ বুঝতে পারবেন এবং অনুতপ্ত হয়ে নিজেকে সংশোধনের জন্য এটা সুন্দর একটি পন্থা।

৫. বাড়িতে ঢুকার ও বের হবার পথে দুআ লিখে রাখুন একটি কাগজে। যে এই দোয়াগুলো দেখতে পেয়ে পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ আপনি সেজন্য পুরস্কৃত হবেন৷ একইভাবে ঘরের এমন কোনো স্থানে দুআ লিখে রাখতে পারেন, যেটা সবার নজরে আসে।

৬. আপনার হাত খরচের টাকা দিয়ে একজন এতিমকে সহায়তা করুন আপনার সাধ্যমতো। মাসের কোনো একদিন নাস্তা না করে এতিম কোনো শিশুকে খাবার খাইয়ে দিন।

৭. আপনার বাড়ির আশপাশে যদি কোনো নির্মাণ কাজ চলে কিংবা শ্রমিকেরা কাজ করে, তবে কিছু ঠাণ্ডা পানি বা খাবার তাদেরকে দিতে পারেন। ইনশাআল্লাহ আপনি পুরস্কৃত হবেন।

৮. কোনো মসজিদে কুরআন মাজিদ রেখে দিন; যে কোনো ব্যক্তি যখন অন্তত একটি অক্ষর পাঠ করবে, তার জন্য ১০ গুন সওয়াব লিখিত হবে আপনার আমলে।

৯. আপনার পান করা গ্লাসে পানি অবশিষ্ট থেকে গেলে তা একটি ফুলদানির পাত্রে রেখে দিন, অপচয় করবেন না।

১০. আপনার মুসলমান ভাইবোনদের উৎসাহ দিন, দুর্দিনে সাহায্য করুন, সহানুভূতিশীল হোন, যখন তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে।

১১. অসুস্থ আত্মীয় কিংবা পরিচিতদের দেখে আসুন। একটু হাসুন, কথা বলুন। এটাও সাদাকা। মৃদু হাসি বিনিময় করাও সাদাকা।

১২. ততক্ষণ পর্যন্ত ঘুমাবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনাকে যারা কষ্ট দিয়েছে তাদের ক্ষমা করেছেন।

১৩. কাউকে এক অক্ষর হলেও দ্বিন শিক্ষা দিন। সেই ব্যক্তি যখন তার সন্তানসন্ততি, বন্ধুবান্ধব কিংবা তার সন্তানদের মাধ্যমে তার পরের প্রজন্ম এই দ্বিন অর্জন করবে, সে সকল সওয়াব মৃত্যুর পরেও আপনার কবরে পৌঁছাবে ইনশাআল্লাহ।

১৪. সামর্থ্য থাকলে মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল স্থাপনে সহায়তা করুন। গাছ লাগান, টিউবওয়েল বা পান করার পানির ব্যবস্থা করুন। আপনার মৃত্যুর পরেও মসজিদ মাদ্রাসা দ্বিন শিক্ষা দিতে থাকবে, হাসপাতালে রোগী সেবা পেতে থাকবে, গাছ থেকে মানুষ অক্সিজেন এবং খাবার পাবে, পান করার পানি পান করতে পারবে আপনার ব্যবস্থা করে দেওয়া পানির উৎস থেকে। এসকল কিছু সদকায়ে জারিয়া। এগুলো মৃত্যুর পরেও আপনাকে পরকালের জন্য ধনী করতে থাকবে।

১৫. সন্তানদের উত্তম সন্তান হিসেবে গড়ে তুলুন। দ্বিন এবং মানবতা শিক্ষা দিন। এদের দুআ কবর পর্যন্ত পৌঁছাবে, আপনার থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা এদের সঠিক মানুষ হতে সাহায্য করবে।

১৬. এই সাদাকার পন্থাগুলো মানুষের সাথে শেয়ার করুন, তাদের শিক্ষা দিন। এটিও সাদাকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত।

(গণমাধ্যমকর্মী আবু তাহের রিপনের ফেসবুক পোষ্ট থেকে)

  • Related Posts

    জিলহজ্জের প্রথম দশদিন: বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ সময়

    জিলহজ্জের প্রথম দশদিন হচ্ছে এমন একটি সময়, যখন একজন মুমিন আল্লাহর নৈকট্য লাভের অপার সুযোগ পান। যাঁরা এই দশদিনের মর্যাদা বুঝে ইবাদত-তসবিহ, রোযা ও দান-সাদকার মাধ্যমে নিজেকে আল্লাহর কাছে পেশ…

    “এআই ক্যালকুলেটর বলে দেবে মৃত্যু কতটা কাছে”

    সংবাদ বিভাগ: রোগীরা এআই ‘ডেথ ক্যালকুলেটর’ থেকে আনুমানিক আয়ুষ্কালের পূর্বাভাস পেতে পারে। এই টুলটি একটি একক ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ECG) পরীক্ষা ব্যবহার করে, যা হার্টের কার্যকলাপ রেকর্ড করে অজানা স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো শনাক্ত…

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *