করোনা’র পর নতুন আতঙ্ক এইচএমপিভি ভাইরাস- মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

সংবাদ বিভাগ: গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশেও এইচএমপি ভাইরাস শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। এর আগে চীন ও ভারতে এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণ সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে’র স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং দেশের বিভিন্ন প্রবেশপথে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করার জন্য দেয়া হয়েছে নির্দেশনা নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের মত ফ্লু এর মত উপসর্গ সৃষ্টি করে, যা সাধারণত ২-৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। এ কারণে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এক রোগীর শরীরে এইচএমপি ভাইরাস শনাক্ত করার তথ্য দেয় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর।

আক্রান্ত ব্যক্তি ঢাকার মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি থাকার কথা বলা হয়। পরে রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব পরামর্শ মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, চীনসহ উপমহাদেশে বিভিন্ন দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাসের তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সি শিশু ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। এরসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন, হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গর্ভবতী নারী ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।

অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও এ রোগের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় এ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে নির্দেশনায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনাগুলো হল-

১। শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করা ২। হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা; ৩।ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া; ৪। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা ও কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা;
৫। ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া (অন্তত ২০ সেকেন্ড); ৬। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ না ধরা এবং জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকা।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, এইচএমপি ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, দেশের সব বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সব বন্দর কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

  • Related Posts

    ভুল ও সামাজিক বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করলে কঠোর ব্যবস্থা

    ভেতরের খবর নিউজ ডেস্ক: ভুল ও সামাজিক বিভ্রান্তিমূলক কোনো সংবাদ প্রকাশ করে জনসমাজে বিভ্রান্তমূলক সংবাদের মাধ্যমে মিথ্যা ছড়ালে সরকার আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম…

    সেনাবাহিনীর অভিযান দেশীয় মদ উদ্ধার: গ্রেপ্তার ৫

    ভেতরের খবর নিউজ ডেস্ক: (রাজশাহী): নিম্নমানের দেশীয় মদ পানের এবং বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবনের কারনে মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়,তামাক বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষের…

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *