সংবাদ বিভাগ:
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন করেছে ইসরায়েল সরকার। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) চুক্তি অনুমোদন করে দেশটির যুদ্ধকালীন নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠকের পর ইসরায়েল সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে। সরকার জিম্মিদের প্রত্যাবর্তনের কাঠামো অনুমোদন করেছে। জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি রোববার কার্যকর হবে।
ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার কিছু কট্টরপন্থী মন্ত্রী এই চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেন। মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর জোট সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী চুক্তির পক্ষে ভোট দিয়েছেন ও ৮ জন এর বিরোধিতা করেছেন।
টাইমস অফ ইসরায়েল জানিয়েছে, মন্ত্রিসভার যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের পর চুক্তির প্রথম ধাপে মুক্তির জন্য ৭৩৭ ফিলিস্তিনি বন্দীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। তাদেরকে স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৪টার দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এই তালিকায় হামাস, ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাসীন ফাতাহ আন্দোলনের বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছেন- যারা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
প্রসঙ্গত, গাজা উপত্যকায় ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি প্রাণঘাতী হামলার অবসান ঘটাতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করেছে মধ্যস্ততাকারী দেশ কাতার। আসন্ন রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে এ যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি বলেছেন, তিন ধাপের এই চুক্তি রোববার থেকে কার্যকর হবে।
চুক্তির মধ্যে রয়েছে বন্দি বিনিময় এবং টেকসই শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় প্রায় ৪৬ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। নিঁখোজ হয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গত নভেম্বরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এছাড়া গাজায় গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও রয়েছে।
—নিজস্ব প্রতিবেদক