সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

সংবাদ বিভাগ:
‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪(৪) এ উল্লিখিত বিচারকার্য পালনের স্বাধীনতাকে সুসংহতকরণ, অনুচ্ছেদ ৯৫(১)-এ প্রধান বিচারপতির পরামর্শ গ্রহণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ প্রয়োগ এবং অনুচ্ছেদ ৯৪(২) (গ)-এর অধীন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে যোগ্য ব্যক্তির নিয়োগ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে আইন ও বিচার বিভাগ উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করেছে।

উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে বলেও এতে জানানো হয়েছে।

এদিকে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই দেশের বিচার বিভাগের মানোন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখ তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে আইন উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ, অ্যাটর্নি-জেনারেল এবং দেশের জেলা আদালতসমূহের বিচারকগণের সম্মুখে বিচার বিভাগ আধুনিকায়নের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন।

রোডম্যাপে অন্যান্য বিষয়ের সাথে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য একটি স্বাধীন জুডিসিয়াল অ্যাপোয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল বিষয়ে তিনি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের বিষয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

পাশাপাশি, বিগত ২৮ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রি. তারিখ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত আইন, বিধি-বিধান, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, প্রথাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিষদ গবেষণা পরিচালনাপূর্বক একটি প্রস্তাব আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সুপ্রীম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়। অতি শীঘ্রই লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের রুটিন ভেটিং সাপেক্ষে অধ্যাদেশটির খসড়া চূড়ান্ত হবে মর্মে আশা করা যাচ্ছে।

প্রধান বিচারপতি ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কার রোডম্যাপের এরূপ পর্যায়ক্রমিক দেশে বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

 

  • Related Posts

    “রাজনীতি’র নয়া বাতাস”

    সংবাদ বিভাগ: জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয় জামায়াতে ইসলামীর। দুই দলেরই অবস্থা হয়ে ওঠে বিপরীতমুখী। সভা-সমাবেশে একদলের নেতারা অন্য দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলতেও…

    আদালতের মালখানা থেকে চুরি হওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার

    সংবাদ বিভাগ: রাজশাহী: নাটোর আদালতের মালখানা থেকে চুরি হওয়া নগদ ৬১ লাখ ৫৯ হাজার ৩০০ টাকা ও ১৪ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ৫৮ ভরি রুপা উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ঘটনার…

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *