সংবাদ বিভাগ: ছবিতে চট্টগ্রামে আটক ভুয়া ডিজিএফআই সদস্যদের কয়েকজন। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের ভাষ্য, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ১৩ জনের দল একটি মাইক্রোবাসে করে খুলশীর ৩ নম্বর রোডের একটি বহুতল ভবনে আসে। ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য বলে পরিচয় দেয় তারা।
চট্টগ্রাম মহানগরের খুলশী থানা এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই সদস্য পরিচয় দিয়ে ডাকাতির চেষ্টাকালে ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় শুক্রবার রাত ১২টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপি খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান।
আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. ওয়াজেদ (৩৬), মো. হোসাইন (৪২), রুবেল হোসেন (২৫), মহি উদ্দিন (৪৫), আবদুস সবুর (৩৭), মো. ইয়াকুব (৩৫), মোজাহের আলম (৫৫), মো. রোমেল (৪১), ওসমান (২৪), আবদুল মান্নান (৩৫) ও শওকত আকবর (২৮)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের ভাষ্য, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ১৩ জনের দল একটি মাইক্রোবাসে করে খুলশীর ৩ নম্বর রোডের একটি বহুতল ভবনে আসে। ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য বলে পরিচয় দেয় তারা।
এরপর ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে আটকে রেখে তারা ভবনের অষ্টম তলায় যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারীর ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে।
ওই সময় গিয়াস উদ্দিন বাসায় না থাকায় দলটি দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে এবং জিনিসপত্র তছনছ করে। ভবনের অন্য বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
খুলশী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ১১ জনকে আটক করে। অভিযানের সময় আরও দুজন পালিয়ে যায়।
আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি চাইনিজ কুড়াল, খেলনা পিস্তল ও ভুয়া পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।
গিয়াস উদ্দিনের ভাই জালাল উদ্দিন আনসারী জানান, ঘটনার সময় তার ভাইয়ের পরিবারের কেউ বাসায় ছিলেন না। তারা বাইরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এ সুযোগে দলটি দরজা ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে সবকিছু তছনছ করে।
সিএমপির উপকমিশনার (উত্তর) ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘১১ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
‘পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং পলাতক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
-নিজস্ব প্রতিবেদক