সংবাদ বিভাগ: আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাইদির অনুপস্থিতে ড. মিজানুর রহমান আজহারীকে প্রধান অতিথি করেছে ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের আয়োজক কমিটি। তিনি ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর থেকে ওয়াজ করবেন বলে আয়োজক কমিটির সুত্রে জানা গেছে।
এবারই প্রথম তাফসীর মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা প্রয়াত আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর অনুপস্থিতিতে। যিনি দীর্ঘ ২৯ বছর প্রতিদিনই একাধারে তাফসীর মাহফিলে বয়ান করে গেছেন। এবিষয়ে মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল হান্নান চৌধুরী বলেন,দেশের ইতিহাসে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাইদির অপ্রাপ্তি কেউ পূরন করতে পারে নাই,মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মাহাফিলে পংগপালের মত ছুটে আসতো। কিন্তু সেই দেলোয়ার হোসেন সাইদিতো আর আসবে না, মুলত কোরআনের প্রতি সেই আকর্ষণটাকে ধরে রাখার জন্য আন্তর্জাতিক ইসলামীক স্কলার ডঃ মিজানুর রহমান আজহারীর মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।কোরআনের প্রতি সেই আকর্ষণটাকে ধরে রাখার জন্য আন্তর্জাতিক ইসলামীক স্কলার ডঃ মিজানুর রহমান আজহারীর মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
২০০৬ সালের ২০ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি প্যারেড ময়দানে সর্বশেষ তাফসীর মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০৬ সাল পর্যন্ত ঐতিহাসিক এই তাফসীর মাহফিলের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এর পরের দুই বছর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই মাহফিলের অনুমতি দেয়নি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার তাফসির মাহফিল আয়োজনের চেষ্টা করে ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ। ওই বছরের ২৯ মার্চ থেকে তাফসির মাহফিল আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হয়। কিন্ত চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) এই মাহফিলের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করে। এরপর থেকে একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় এই আয়োজন। বিগত সরকারের আমলে নানা টানাপোড়েনে কেটেছে জামায়াতে ইসলামীর অস্তিত্ব। এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনেককেই মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় এবং দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু হয় জেলেই।তার অনুপস্থিতিতে এবারই প্রথম তাফসীর মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, সাঈদীর অনুপস্থিতিতে এবারের মাহফিলের মূল আকর্ষণ মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।তিনি এই মাহফিলের পঞ্চম ও শেষ দিনে তাফসীর পেশ করবেন। ড.মিজানুর রহমান আজহারীর আগমন উপলক্ষে আগত শ্রোতাদের এই মাঠে জায়গা হবে কী ? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু তাহের বলেন, নগরবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আশা করছি মাহফিলে বিপুল শ্রোতার সমাবেশ ঘটবে। আমরা অনুভব করছি, সেই তুলনায় মাঠটি যথেষ্ট নয়। তাই আমরা সমাবেশের সংকুলান ও শোনার সুবিধার্থে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহের আরো বলেন, ‘একসময় মাহফিলের মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকতেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। তিনি প্রয়াত হওয়ায় এবারের আকর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে মিজানুর রহমান আজহারীকে। আজহারী সাহেব প্রখর মেধাবী তরুণ ইসলামী স্কলার, যুবকদের আইডল, বাংলা ছাড়াও তিনি বহু ভাষায় দায়ী হিসাবে মাহফিলে আলোচনা করে থাকেন। মূলত মাহফিলের শেষদিন তিনি তাফসির করবেন।
–এস এম ইরফান ( চট্টগ্রাম)