সংবাদ বিভাগ: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
তারা মনে করেন, পৃথক নির্বাচন হলে সংসদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং এর মধ্যে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।
আজ শুক্রবার (৩০-জানুয়ারি-২০২৫) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
‘অন্তর্বতী সরকারের সংস্কার কমিটির প্রস্তাবে হিন্দুদের স্বার্থ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কোনো গঠনমূলক সুপারিশ না থাকা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি অনুযায়ী পৃথক নির্বচন ব্যবস্থার প্রস্তাব না থাকার প্রতিবাদে’ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার রুপরেখা তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল।তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ। এর মধ্যে হিন্দু দশ শতাংশ। বদ্ধ ও খ্রিস্টান দুই শতাংশ। সংসদীয় ৩৫০ হলে সে অনুপাতে ৪২ টি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। এর ৩৮ টি হিন্দুদের জন্য, তিনটি বৌদ্ধদের জন্য এবং একটি খ্রিস্টানদের জন্য থাকতে হবে। এগুলোতে পৃথক নির্বাচন হতে হবে।
জাতীয় হিন্দু মহাজোট বলেছে, স্বাধীনতার পূর্বে থেকেই বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় দেশীয় ও বৈদেশিক রাজনীতির ‘ গ্যাঁরাকলে’ পৃষ্ঠ হয়ে আজ অস্তিত্বহীনতার মুখোমুখি। ‘মাইনোরিটি কার্ড ‘ এখন রাজনৈতিক দল গুলোর ‘ট্রাম কার্ড ‘ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনেও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুকে ভোট বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। অথচ সংখ্যালঘু সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কথা কেউ বলছে না। সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। সংখ্যালঘু সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি উজ্জ্বল করতে জাতীয় সংসদসহ সব ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচনব্যবস্থা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন মহাজোটের সহ-সভাপতি নিতাই দে সরকার, যুগ্ম মহাসচিব বিশ্বনাথ মোহম্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোর কুমার বর্মন ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা প্রতিভা বাক্চী।
— নিজস্ব প্রতিবেদক