কালান্তরের দায়?
যে যাতনার একপাশে সুখের পলিমাটি;
বিনিদ্র রজনী’র আত্মিক আলোড়ণে
প্রজনন বাড়ায়? কালান্তরের দায়!
শান্ত রাতের গায়ে- হাসনাহেনার সুবাস ছড়ায়-
অসময়ে ডুবে যাওয়া সূর্য, ফুরিয়ে যাওয়া ব্যর্থতাকে প্রহসন জানায়?
জীবনের ক্লান্তি কমিয়ে শতবর্ষী ব্যর্থতারা এককক্ষ বিশিষ্ট দ্বি-পাক্ষিক গল্প শোনায়?- ভীষণ চেনা মনে হয়; যেন পেরিয়ে এসেছে মহাকাল এমন সহস্র পরাজয়-
সুদক্ষ যন্ত্রণা, মৌনতার প্রেমিক হয়ে ওঠা- পাষাণ পাথরে শ্যওলা জমে- কচুরিপানার ফুল হয়। বুনিয়াদি নারিকেল; বাতাবি লেবু হয়;
অস্তিত্বের টানে টান পড়লে; অসম্ভব মাত্রার ভূ-কম্পন হয়, স্লাইকোন হয়! মায়া নয়, মননের দূর্বাঘাসে লতাপাতার ফাঁকে-
ছোট্ট একটা সাদা ফুল হয়?
অসহ্য ঝড় শেষে; যদি সুগন্ধের মৃদু কলোতান
বুকের ক্যালেন্ডারে লাল চিহ্নে’র নিছিদ্র নিরাপত্তা হয়? সে তো মানচিত্রের জয়!
সবশেষে পাগলেরা এক হয়!
অশান্ত পথিকে’রা যোগ হয়, বধ হয়-
নিভে যাওয়া প্রদীপে, ভেসে আসা অশান্ত আগুনপাখি’র সন্নিবেশ হয় !!
শতাব্দীর শাণিত আলোকজ্যোতি;
সবার সাহসের সুউচ্চবাক্যে’র প্রলেপ
জটিলভাবে আক্রান্ত হয়?
-এ ও বুঝি কালান্তরের দায়?
নাকি জীবন নামের অসহ্য সুখে;
খুব বেশি দরদামে দূ:খ বিকিকিনি হয়? টানাহেচড়ায়- ‘দু:খ’ ভাগাভাগি হয়?
যারা যত দু:খ বুকে’র হিমালয়ে পুষে:
তারা তত নদী পায় !! ভেসে ভেসে সুখ সাগরের মোহণাও খুঁজে পায় ; লোকে মুখে তাকে-
সাফল্য! কেউ কেউ পূর্ণতা কয়?
আর এ ও কিছু না? কালান্তরের দায়- !!
রাশিদুল হাসান সুজন
১৬/০২/২০২৫ ইং
ঢাকা; রাত।