সংবাদ বিভাগ: (১ মার্চ ২০২৫ ইং) সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মিতু আক্তার জানান, শুক্রবার রাত একটার দিকে সন্দেহভাজন আট ডাকাতকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
শরীয়তপুরে সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুই ডাকাত নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। জেলার সদর উপজেলায় শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।
ওই সময় ডাকাত দলের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে বাল্কহেড শ্রমিকসহ স্থানীয় তিনজন আহত হন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১০টার দিকে স্পিডবোটে একদল ডাকাত আঙ্গারিয়া এলাকায় প্রবেশ করলে স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের প্রতিহত করতে গেলে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে আহতরা হলেন শরীয়তপুরের পালং থানার ডোমসার মোল্লা কান্দি এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে তোতা মিয়া (৩৫), পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার জয়নাল মিয়ার ছেলে বাল্কহেড শ্রমিক মাসুম মিয়া (৩০), একই জেলার নাজিরপুর উপজেলার কালিকাঠী এলাকার আনিস ফকিরের ছেলে বাল্কহেড শ্রমিক আলামিন (১৯)।
এরপর ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়ায় রাজগঞ্জ এলাকা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ডাকাতদের ধরতে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে নদীপথ আটকে দেয়। ওই সময় স্পিডবোট তীরে রেখে পালানোর সময় স্থানীয়রা আট ডাকাতকে ধরতে সক্ষম হন। পরে তাদের সংঘবদ্ধভাবে পেটান উত্তেজিত লোকজন।
ঘটনার পর আহত অবস্থায় প্রথমে তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাসুম মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুনতাসির আহত চারজনকে হাসপাতালে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পরে দুজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। একজন এখনও চিকিৎসাধীন। আরেকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মিতু আক্তার জানান, শুক্রবার রাত একটার দিকে সন্দেহভাজন আট ডাকাতকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আহত অপর পাঁচ ডাকাতকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, আটক ডাকাতদের বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।