(আপোষহীন দেশনেত্রী ম্যাডাম জিয়ার কথা বলছি…
বিস্তারিত: কি আশ্চর্য রকমের স্নিগ্ধ সে মুখখানি? কি অবুঝ, সরলরেখায় মমত্বের মাধুর্য মুখে। এ যেন শুধু বন্ধন নয়, বিশ্বাস! আমাদের প্রাণপ্রিয়, আপোষহীন দেশনেত্রী, হার না মানা মায়েদের নীরব যাতনার মলিন মুখচ্ছবি। আমাদের মায়ের না বলা কথার প্রতিরুপ প্রস্ফুটিত হয়েছে তাঁর মুখে; এটাইতো বাংলা মায়ের সাবলীল সাহসী মুখাবয়ব। বাঙালীর এক প্রকম্পিত রাজনৈতিক ইতিহাস। এক মহিয়ষী নারীর কথা বলছি; ম্যাডাম জিয়া! তিনি সবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন দেশপ্রেম কাকে বলে?
জন্ম ১৫ আগষ্ট ১৯৪৫ ইং। তিনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ও মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশগুলোর মাঝে দ্বিতীয় মহিলা সরকার প্রধান। মেজর জিয়ার মুক্তির বার্তা তাঁর হৃদয়ে বেজে উঠতো অনির্বাণ। তাঁর শাসনামলে তিনি ছিলেন ফাস্টলেডি। তাঁর নিজ হাতে গড়ে তোলা দুর্নিবার সৈনিকের শাণিত স্বাক্ষর, দেশনায়ক তারেক রহমান; আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশের মহানায়ক। তাঁর পদচিহ্নে বাংলাদেশের মাটি মানুষ মিশে যাবে তুমুল আবেগে, শত মতানৈকের হবে সার্বজনীন মীমাংসা। গণতন্ত্রের পাহাড়াদার মায়ের আঁচলে মুখ মুছতে পারেনি নিজদেশে এতোটা দীর্ঘদিন বছর, মাস, প্রসারিত প্রতিটি সেকেন্ড। বাংলার আদি-অন্তের সেরা ইতিহাসের ধারক-বাহক প্রেসিডেন্ট বাবার সুযোগ্য সন্তান দেশে আসবে: দশের জন্য, মানব কল্যাণের জন্য, মায়ের সেই আঁচলহারাধন নিজ দেশে ফিরে এলে একবার দেখবেন সবাই চোখভরে। তাঁর মুখের প্রতিটি কোণে, মৃদু হাসির ভাঁজে; বাংলাদেশ! এক চোখে বেগমখালেদা অন্য চোখে পিতা জিয়া’র আদেশ।
প্রেসিডেন্ট জিয়া ছিলেন এক মহাকাব্যের নাম। তিনি হাল ধরেছিলেন দিকভ্রান্ত বাংলার, সত্যের সৌন্দর্য রক্ষায়, ধর্মের পবিত্রতায়, অপ্রতুল বিশ্বাসের, সাম্য আর শান্তির। বৈশাখের এই তুমুল সাজে সজ্জিত বর্ণিল বাংলায় তোমাকে স্মরণ করছি সশ্রদ্ধচিত্তে হে মহানায়ক। তুমি বাঙালির সেরা অহংকার হয়ে থাকবে প্রতিটি মুক্তিকামী বাঙালির মানসপটে। তোমার রেখে যাওয়া কলিজার ধন, বাঙালীর নব-জন্মের দক্ষ নেতৃত্ব, আলোকখণ্ডের মত উপহার, জাতি’র কাছে রেখে যাওয়া শতাব্দীর অহংকার। । দেশনায়ক তারেক রহমান; তুমি আমাদের পাশে নেই আজ, এই বিভোর স্বপ্নকাতর জাতির আনন্দ উল্লাসে বাঙালি হৃদয় তোমাকে ভীষণভাবে অনুভব করছে। আমাদের শতভুল, অন্যায়, অপরাধ নিজে মাথা পেতে নিয়েছো বার বার কোটি মানুষের অভিভাবক হয়ে। অভিযোগ কম নিয়ে, ক্ষমা সুন্দর মহত্বে যেন দেখিয়েছ পথ। কোন কর্মীর দায়িত্বহীনতায়, কান্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডে শাস্তি নিশ্চিত করেছো সাবলীল পারদর্শিতায়, দলীয় কর্মীও -অপরাধী হলে সঠিক বিচার। সর্বদা আলোর দিশারী হয়ে এ জাতিকে দি-য়েছো উপমহাদেশের সেরা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মত সুপরিকল্পিত দিকনির্দেশনা; যা ক্রমাগত গণমানুষকে ঐক্যের দিকে নিয়ে গেছে। সব গোত্র -গোষ্ঠীর মানুষ বুঝেছে তোমাকে!
এই জাতিকে দিয়েছো মুক্তির দিশা, জাতিকে একঐক্যেতানে বেঁধে ৫ আগস্টে রূপ দিয়েছো পরিশেষ।
তোমাকে অনুভব করছে আজ বাংলার আপমর জনতা, শ্রমিক, কৃষক, তেজী সব বুলেট ছিদ্র বুকের চিৎকারে, ছেলেহারা মায়েদের অশ্রুজল।
এই মুখরিত দিনের বৈশাখী আনন্দ আর উদ্দীপনায়, কোটি বাঙালীর হৃদস্পন্দন তোমাকে খুঁজছে হে দেশনায়ক তোমাকে? – তুমি দেশে চলে এসো বাংলার মাটি প্রতিটি ধূলিকণা তোমার স্পর্শ নিতে চায় আবারো নতুন করে, নতুন সম্ভবণায়, উদ্দীপ্ত কবিদের নতুন কবিতায়।
আমরা সয়েছি অনেক, প্রয়োজনে প্রস্তুত, সইবো আরো তীব্রতর জীবন ঝুঁকি গণতন্ত্র প্রতিস্থাপনে, দেশবরেণ্য তোমার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। পৃথিবীতে আর একজনও নেই তোমার মহিয়ষী মায়ের মতন ধৈর্যবান জাগরিত মন। এতো বর্বরচিত অত্যাচার!
নিজ ঘর থেকে বিতাড়িত, অপমানিত সর্বোচ্চ সহ্যকারী মা মন৷ যেন বাংলাদেশের অভিভাবক হয়ে সর্বদা সজাগ মস্তিষ্কে থেকেছেন সতেষ্ট, গণতন্ত্রকামী, মুক্তির দিশারী,
এই আত্মপ্রত্যয়ী নিজ দেশের নারীদের শিক্ষার সুব্যবস্থা তিনিই প্রথম করেন।। দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশের মাটিই যেন তাঁর প্রকৃত সুখ, শান্তির ঘর। জোরপূর্বক ঘর থেকে বের করে তাঁকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।
দেশপ্রেম কমেনি একবিন্দু বরং বেড়েছে তাঁর। বাংলাদেশ এবার দেখবে, গর্বিত মা এবং ছেলের আত্মপ্রত্যয়ী স্বপ্নমাখা মুখের উজ্জ্বল হাসি; কতইনা অম্লান এ জাতির তরে, বাংলার মাটি, বাতাস ভরে উঠবে উল্লাসে, পতাকার পত পত শব্দে, শোভিত লাল-সবুজে; সে আর কেউ নয় ? বাংলা মায়ের প্রতিরুপ বেগম খালেদা জিয়ার সে দরদী মুখ; তাঁর মুখেই তো ফুটে উঠেছে কোটি বাঙ্গালীর মায়ের সেই চিরন্তন হাস্যজ্জ্বল মমতাময়ী একটুকরো সুখ।
-রাশিদুল হাসান সুজন
১৪ এপ্রিল ২০২৫ ইং
১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার, ১লা বৈশাখ।
ঢাকা।