নিউজ ডেস্ক: বুধবার (১১ ডিসেম্বর ২০২৪) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের জ্বালানি সমৃদ্ধি – ২০৫০’ নিয়ে দ্বিতীয় জ্বালানি সম্মেলনের তিন দিন ব্যাপী আয়োজনের আজ উদ্বোধন হয়েছে। সম্মেলনের আয়োজক কয়েকটি উন্নয়ন সংস্থা সমন্বিত জোট বাংলাদেশ ওয়াকিং গ্রুপ ইকোলজি ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি)।
আয়োজনে সৈয়দ রিজওয়ান আহসান বলেন বিদ্যুৎ খাতে চুক্তি বাতিলের কথা বলাটা সহজ হলেও তা থেকে বের হয়ে আসাটা অনেক ব্যয়বহুল। তিনি বলেন চুক্তি বাতিল এতটা সহজ নয়, নাইকো চুক্তি বাতিল করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেতে হয়েছে, তবুও অন্তর্বর্তী সরকার চ্যালেঞ্জটা নিয়েছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা আরো বলেন, বিগত সরকারের কিছু চুক্তি বা প্রকল্প যা থেকেই বিরোধীতার মুখে ছিল, যেগুলো ইতিমধ্যেই বাস্তবায়ন হয়ে গেছে এবং সেগুলোর ঋণের বোঝা এখনও টানতে হচ্ছে। বসিয়ে বসিয়ে টাকা দিতে হচ্ছে। একই সময়ে আবার জ্বালানি রূপান্তরেরও একটা চাপ আছে। যে ধরনের অসম চুক্তি হয়েছে, স্বাভাবিক এর থেকেও অধিক অর্থ খরচ করা হয়েছে, তার দায় বহন করতে হচ্ছে। এবং এই ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করতেই সরকারের অনেক সময় লেগে যাচ্ছে।
এ সম্মেলনে বিদ্যুৎ খাতে করা চুক্তি বাতিলের বাস্তবতা নিয়ে আরো কথা বলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টর জ্বালানি বিষয়ক বিশেষ সহকারী “ম তামিম”।
তিনি বলেন, এ খাতের বেশিরভাগ চুক্তি দীর্ঘমেয়াদী। প্রতিটি প্রকল্প বন্ধ করতে হলে ৮ থেকে ১২ বিলিয়ন জরিমানা দিতে হবে। মেয়াদ শেষ হবার আগে বাদ দিতে গেলে যেমন আইনি ঝামেলা আছে তেমন আছে আর্থিক জরিমানাও।
সম্মেলনের শুরুতে বক্তব্য দেন বিডব্লিউজিইডির সদস্য সচিব হাসান মাহমুদ। সঞ্চালনা করেন কোস্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্কের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং উপদেষ্টা বেনজির আহমেদ ও ইডেন কলেজের অধ্যাপক ফাহমিদা হক।
দিন ইসলাম(দিপ্ত)/ভেতর খবর