
ভেতরের খবর নিউজ ডেস্ক: (রাজশাহী):
বিএনপিতে দখলবাজ ও সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর বিন্দুর মোড়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা জানান।
মহানগরীর বিন্দুর মোড়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল রাজশাহী মহানগর, থানা ও ওয়ার্ডের সাবেক নেতারা এই আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মিনু বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি আমাদের জাতিসত্তার রূপকার। মহান স্বাধীনতার ঘোষক। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। আধুনিক ও স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্থপতি। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রতিষ্ঠাতা। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার। স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর প্রথম সামরিক ব্রিগেড জেড ফোর্সের অধিনায়ক। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক শীর্ষ সংগঠন সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা। একজন ভিশনারি, সার্থক ও কীর্তিমান রাষ্ট্রনায়ক। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সৎ শাসক।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এবং দিক-নির্দেশনায় দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচার পতনের জন্য আন্দোলন করে আসছে। গত বছরের জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচারের পতন হলেও দেশে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি। এই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আবারও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি অনিবন্ধিত দল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ আর এটা মেনে নেবে না।
তিনি আসছে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান।
মিনু বলেন, বিএনপি কথা কম বলে কাজ বেশি করে। তিনি মানুষের সঙ্গে দলের সবাইকে ভালো ব্যবহার করা পরামর্শ দেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক আদর্শ দল। এই দলের কেউ চাঁদাবাজ ও দখলবাজি করলে বিএনপিতে তার ঠাঁই হবে না। ওইসব ব্যক্তিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
মিনু বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেক কষ্ট সহ্য করেছে। শুধু নেতাকর্মীরাই নয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে মেরে ফেলতে চেয়েছিল পতিত সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী খুনি হাসিনা। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তা হয়নি। তিনি এখন সুস্থ আছেন। দেশের উন্নয়নে খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া একত্রে কাজ করবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত হয়। সেইসঙ্গে জনগণের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাসিকের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
স্বেচ্ছাসেবক দল বোয়ালিয়া থানার (পূর্ব) সাবেক আহ্বায়ক সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মাইনুল হক হারু, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিলন, চন্দ্রিমা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাব হোসেন প্রমুখ।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উজ্জল হোসেন।
ব্যুরো প্রধান,রাজশাহী।