
“ডক্টর ইউনুসনামা”
(১০০ থেকে ০০০ দিকে ক্রমবর্ধমান নাকি তিন শূন্য থেকে….)
(আপনি যখন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন, আবেগ, রাগ, ক্ষোভের বসবর্তী হয়ে কোন সিদ্ধান্তে উপনতি হবেন না) আপনার অভিমান কিসের প্রমাণ দেয়? আপনার সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টাদের কার্যক্রম আপনি কি পরিলক্ষিত করতেছেন নাকি স্বেচ্ছায় স্বেচ্ছাচারিতার বিবর্ণ কালো আকাশে ছেড়ে দিয়েছেন তাদের মত যা ইচ্ছে করে করুক; আকাশে মেঘ জমুক আর আমি ক্ষমতার আসেন থাকি দিনের পর দিন।। খবর তো খুব সুস্বাদু; কে ছাড়তে চায়? আপনার কোন রাজনৈতিক অপরিপক্ক সিদ্ধান্তে যদি অন্তরবর্তী সরকার কোন কারণে ব্যর্থ হয়। তাহলে আপনার জীবনের সমস্ত ইতিহাসের একটা প্রশ্নবোধক দাগ রেখে যাবেন আপনি নিজেই। এ সরকার সফল হওয়ার জন্য তৈরি।
আজকে NIKKEI FORUM (FUTURE OF ASIA) জাপান সম্মেলন-2025 এ প্রফেসর ইউনুস যে উক্তি করেন। তা হল “সব দল নয় একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়” এমন মন্তব্য সাদা মনের পরিচায়ক? নাকি অন্য নদীর ঢেউটান কিছুটা উজানের টানছে আপনাকে।?
এটা শুধু একটি দল নয়, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দিকজয়ী আদর্শে অনুপ্রাণিত, বাঙালি জাতি’র অস্তিত্ব রক্ষায় জনসমৃদ্ধ এবং জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। দেশের সবচেয়ে বড় দল। যে দলে জিয়াউর রহমানের আদর্শের অনুপ্রাণিত সৈনিকেরা জবাবদিতামূলক সরকার ব্যবস্থা মনেপ্রাণে পোষণ করে। প্রতিষ্ঠিত করতে চায় এবং বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবার জন্য প্রত্যয়ী, অটুট এবং দৃঢ় মনোবলে বলিয়ান। দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান: জনাব তারেক রহমান।
দেশের প্রতিটি প্রান্তে আনাচে কানাচে এই সু-সংগঠিত বৃহৎতর ঐতিহ্য লালনকারী, দলটির ব্যাখ্যাও বিশ্বমঞ্চে বিস্তারিত তুলে ধরা দরকার প্রেস উইং কিংবা আপনার।
কারণ এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর নানা রকম ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গঠিত। ভিন্নমতের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে, নানাবিধ মতের সমন্বয়ে যুগের পর যুগ দেশের অস্তিত্ব লালন করে আসছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলটি। অন্যান্য দলের মত হালনাগাদ সিরিয়ালে ফেললে অমর্যাদা করা হবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের এই স্বদেশ ভূমিকে। দেশের প্রবল জনমত সমৃদ্ধ সর্বশ্রেণীর গ্রহণযোগ্যতা ও সমান জনপ্রিয় এই দলটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন। আপনাকে সুদৃঢ় সমর্থন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা পদে বসিয়েছেন এবং সম্মান জানিয়েছেন সর্বসময়।
এই একটি দল বাদ দিলে বাকি, যে সব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংগঠন বিদ্যমান বাংলাদেশের বাস্তবতায়। তাদের জনপ্রিয়তার ভাসমান মেঘের মতো, সবগুলি দলের সমষ্টি’র ইকুয়্যাল জনগোষ্ঠী; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অর্ধেকেরও কম হবে বলে আশা করা যায় ।
আপনি যে একটি দলের কথা উল্লেখ করেছেন সেই একটি দলের বিস্তারিত বিবরণ আপনার বর্ণনায় আসা দরকার ছিল। বলা দরকার ছিল যে দলের সাথে যুক্ত আছে দেশের সর্ববৃহৎ জনগোষ্ঠী, যে দল মানচিত্রের প্রতিটি ধূলিকনায় নিত্য পদচিহ্ন ফেলে সদা জাগ্রত রাখে জিয়ার আদর্শ; বাংলাদেশের বুক জুড়ে বিস্তৃত সেই জনবন্ধণ; একটি নাম: ব্যাপকতার শীর্ষে প্রতিটি তরুণের বুকের ধুকপুকানি, স্পন্দিত নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন ঝংকার, নেতৃত্ব জুড়ে শহীদ জিয়ার হুংকার! একটি নাম- জনাব তারেক রহমান।
একটি দল- “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল”
“বিএনপি”
টকশোর এই গেষ্টের মন্তব্যের সাথে আজকের সম্মেলনের মন্তব্যের মিল পড়েছে এক্কেবারেই । এর মানে কি উনি নির্বাচন দিবেন না, এটারও মিল পড়ে যাবে?
আমাদের সবার প্রিয় সরকার প্রধান,
একটি বিশেষ শ্রেণী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বলে জনমানুষের ধারণাটা আরো সুস্পষ্ট হচ্ছে। জনসাধারণ সেটা আঁচ করতে পারতেছে সরকারের বিভিন্ন কর্ম পরিধি দৃষ্টিগোচর হলে৷
এই সরকারের প্রেস সচিবের কথা’র দ্বিচারিতা উন্মোচন এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আপনার অবস্থান ক্রমাগত পরিষ্কারের চেয়ে অপরিষ্কার হচ্ছে। আপনার সিদ্ধান্ত দেশের প্রতি আনুগত্যের হুমকি স্বরূপ কিছু কিছু ব্যক্তি সিদ্ধান্তের মতো উদিত রেখায় দৃশ্যমান। আপনার বিশেষ কিছু দেশের সার্বভৌমত্ব ভূলুণ্ঠিত হতে পারে এমন সিদ্ধান্তের অবতরণ জনগণের অগোচরেই তা পরিলক্ষিত হবার পর আমাদের বুঝতে বাকি থাকে না যে একটা অদৃশ্য, অপশক্তি আপনাকে টান দিচ্ছে। যা কি না বাঙালি জাতির চিরশত্রু জাতির আক্রোশী ছাপ বলেই গণ্য হচ্ছে; কিংবা ভিন্ন পরাশক্তি কারোরই দাদাগিরি এ জাতি সহ্য করবে না। অতি দ্রুত গণতন্ত্রের দিকে কিভাবে এগুনো যায় সব ছোট বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সু-সমন্বয় ও পরামর্শে। যুক্তি, তথ্য এবং সবার সমন্বয়হীনতা কাটিয়ে সমাধানের পথ না ধরে, আপনি যে পথে হাঁটছেন। সেটা কি শান্তির?
বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল, যারা কিনা রাষ্ট্রকে বারবার ভেঙে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে শাসন ব্যবস্থা পুনঃবিন্যাস করেছেন সকল শক্তির উৎস জনগণ এই স্লোগানকে প্রাধান্য দিয়ে। এমন একটি তুমুল জনপ্রিয় দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা সুবিশাল এক দৃঢ় আদর্শের মনববন্ধনের এই দলের মুখোমুখি সরকারকে না দাঁড় করিয়ে আমাদের সবার উচিত হবে যত দ্রুত সম্ভব গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাওয়া। একটি মহল নিজেদের ক্ষণিক ফায়দা হাসিল করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের নামে যে অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছেন; তাদেরও খুঁজে বের করে অপতথ্য প্রচার ও জনমনে বিভ্রান্তি ছাড়ানোর জন্য অবশ্যই সরকারের আইন প্রয়োগ করা জরুরী হয়ে পড়ার আগে কিছুটা উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে যা সরকারের নিরপেক্ষতা প্রমাণীয়।
এবং যত দ্রুত সম্ভব, দেশের সুশৃংখল শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গণতন্ত্রের পথ ছাড়া কোন গন্তব্য ই সুগম হবে না বলেই ধারনা। আর এ জন্যই এতদিনের সংগ্রাম, লড়াই, জেল, জুলুম, মামলা, হামলায় আহত বিধ্বস্ত একটি দলকে দাবানল না বানিয়ে আমাদের সবার শান্তি খোঁজা উচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায়। যা ফিরিয়ে আনতে পারে সুশৃঙ্খল, সমৃদ্ধির একটি বাংলাদেশকে, বলে আমার যেমন মনে হয় সবারই ঠিক এমনটাই মনে হবেবলে আশা করা যায়। যারা দেশকে সত্যিকারের ভালবাসে তারা আবারো জীবন বিসর্জন দিতে প্রস্তুত। কিন্তু এভাবে আর কত রক্তের ভাসমান নদী হলে প্রতিষ্ঠিত হবে একটি সত্যিকারের হিংসা, বিদ্বেষ মুক্ত, অমলিন শান্তি’র একটি স্বাধীন, সোনার বাংলাদেশ।
অস্তিত্বের টান লাগা কোন কিছুই আমরা মেনে নেব না। সাবধানতা অবলম্বন জরুরি বলে মনে করছি সবারই। আরেকটি তুমুল যুদ্ধের ডাক না দিয়ে আমরা শান্তি’র পথটাই বেছে নেই, এটা সবার জন্য মঙ্গল। সবার আগে বাংলাদেশ। যদি আপনি মনে প্রাণে এবং সত্ত্বায় এটিই ধারণ করেন; তাহলে আমাদের ভীষণ শ্রদ্ধেয়, স্মরণীয়, বরণীয়, পূজনীয়, প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুস সাহেব; কারো এজেন্ডা বাস্তবায়নকে রক্তচক্ষু দেখিয়ে সমাধানের পথে না আসতে পারাটা আপনার অন্য কোন রক্ত চক্ষুর ভয় বৈকি? তাছাড়া আর সমস্যাটা কোথায়? বুঝিনা ।