জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে, জীবনমানের উন্নয়ন করতে, সমঅধিকার ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্যে মানুষ দলবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন আদর্শ ও মতবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতি করে। এখানে রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য জনকল্যাণে কাজ করে সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করা। আমরা পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি ঠিকই, কিন্তু আজও আমরা অর্থনৈতিক মুক্তি লাভ করতে পারিনি, আজও দেশের মানুষ ভাগ্য বঞ্চিত। সমতা, ন্যায্যতার ভিত্তিতে জনকল্যাণে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে অনিয়ম দূর্নীতি বেড়াজাল তৈরি করে রাষ্ট্রের উন্নয়নের চেয়ে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে বেশি। যে কারনে এখানে রাজনীতি অর্থ উপার্জনের সহজ মাধ্যমে পরিনত হয়। অর্থই যেহেতু অনর্থের মূল, সেহেতু স্বার্থের জন্য শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে হানাহানি, মারামারি, কাটাকাটি সহ সকল ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড। এভাবে ধীরে ধীরে একে অপরের মধ্যে জন্ম নেয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, রাষ্ট্র পরিচালনা হয় ব্যর্থ, সকল উন্নয়ন হয় বাধাগ্রস্থ এবং জনগণ হয় ভাগ্য বঞ্চিত। এজন্য সর্বপ্রথমে দেশে “রাজনীতি থেকে টাকা উপার্জন এবং দূর্নীতি” এর পথ বন্ধ করার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা-না হলে যাঁরা যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে তাঁরাই তখন হয়ে যায় স্বৈরাচার ও দূর্নীতিবাজ। ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রের উন্নয়ন হয় বাধাগ্রস্ত এবং জনগণ হয় ভাগ্য বঞ্চিত।।
বুলবুল আহম্মেদ হাজরা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এর সন্তান