ঢাকায় ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সংবাদ বিভাগ: (ভেতরের খবর) ঢাকায় ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মহানবী হয়রত মুহাম্মদ (সা.)-এর কন্যা হযরত ফাতিমা (সা.আ.)-এর জন্মদিন ও নারী দিবস উপলক্ষ্যে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং যাহরা এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীরমোহাম্মদী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নুসরাত ফাতেমা এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন এবং লায়ন্স চক্ষু ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহকারি রেজিস্ট্রার ড. ইসরাত জাহান ইপা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যাহরা এসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন মিসেস সেলিনা পারভীন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একজন পরিপূর্ণ মানুষের যতগুলো ভালো দিক ও গুণাবলী থাকা প্রয়োজন তার সবগুলোর অধিকারী ছিলেন ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.)। তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের নারী জাতির আদর্শ, বেহেশতের নারীদের নেত্রী, পবিত্র কোরআন এবং অসংখ্য হাদীস কর্তৃক ঘোষিত নিষ্পাপ নারী। ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) সম্পর্কে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেন, হযরত ফাতিমাকে কষ্ট দিলে আল্লাহ অসন্তুস্ট হয় আর হযরত ফাতেমাকে ভালোবাসলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়।

আমরা যদি ‘হযরত ফাতিমার জীবনীর দিকে লক্ষ করি তাহলে দেখতে পাব যে, তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে রয়েছে আমাদের জন্য পরম শিক্ষা এবং সেটি সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইহলৌকিক, পারলৌকিক, আধ্যাত্মিক, ধৈর্য সংযম ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে।

বক্তারা আরো বলেন, ‘হযরত ফাতেমা (সা.‘আ.) হচ্ছেন গোটা ইতিহাসে এবং অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কাল নির্বিশেষে সব সময়ের জন্য নারীকুলের অনুসরণীয় আদর্শ। বস্তুত মানুষের ঐশী ও পবিত্র দিকটি তাঁর মধ্যে পরিপূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়েছে। ‘তিনি ছিলেন বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী একজন মানুষ, ইসলামের পথে একজন সাহসী সংগ্রামী, একজন জ্ঞানী মহিলা- যিনি একই সময় একদিকে যেমন একজন গৃহিণীর ভূমিকা পালন করেন অন্যদিকে ছিলেন একজন মমতাময়ী স্ত্রী ও মাতা এবং পূর্ণতার অধিকারিণী।ইরানের ইসলামী বিপ্লবের রুপকার ইমাম খোমেইনী (রহ্.)‘হযরত ফাতেমা (সা.‘আ.)এর জন্মদিনকে নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন যাতে বিশ্বের নারীরা হযরত ফাতেমা (সা.‘আ.) সম্পর্কে আরো বেশি বেশি জানতে পারে এবং তাঁকে তাদের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে।

 

  • Related Posts

    “নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল,যা বলছে ডিএমপি”

    সংবাদ বিভাগ : রাজশাহী: রাজধানী ঢাকায় হঠাৎ হঠাৎ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ঝটিকা মিছিল নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শনিবার (১৯ এপ্রিল) ডিএমপির ভেরিফায়েড…

    “রাজনীতি’র নয়া বাতাস”

    সংবাদ বিভাগ: জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয় জামায়াতে ইসলামীর। দুই দলেরই অবস্থা হয়ে ওঠে বিপরীতমুখী। সভা-সমাবেশে একদলের নেতারা অন্য দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলতেও…

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *