“বইমেলায় থাকছে লেখিকা এ্যানি আক্তারের “বৃষ্টির চোখে জল”

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ প্রতিবারের মতই লেখক লেখিকাদের নতুন বইয়ের মোড়কে সুসজ্জিত হয়েছে। শত শত নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে বইমেলা উপলক্ষে। পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে যত বই রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি বই কবি ও লেখিকা এ্যানি আক্তারের সৃষ্টি “বৃষ্টির চোখে জল”।

বইটি প্রকাশ করেছে কিংবদন্তী পাবলিকেশনের প্রকাশনা সংস্থা দূরবীন। প্রকাশক অঞ্জন হাসান পবন জানিয়েছেন বইটি পাওয়া যাবে বইমেলার ৭৫-৭৬-৭৭ নাম্বার কিংবদন্তীর স্টলে। এছাড়াও রকমারী অনলাইন বইমেলা ডটকমেও বইটি অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

“বৃষ্টির চোখে জল” বিষণ্ণতায় মোড়ানো হরেকরকম কবিতা নিয়ে রচিত। বইটি প্রেম, বিচ্ছেদ এবং ভালোবাসার অনুভূতি ফুটিয়ে তুলেছে। বইটির কবিতাগুলো এই জেনারেশনের প্রেম থেকে বিচ্ছেদ হয়ে নিঃসঙ্গ জীবনের দুঃখ তুলে ধরেছে।

বইটির ভূমিকা থেকে —
ঠিক যেমন সুখ আর দুঃখ একসাথে পুষে রাখে রাতের বালিশ তেমনি কবিতার গায়েও একসাথে ছুঁয়ে থাকে প্রেম-বিরহ, সুখব্যথা-দুখব্যথা, ভালোবাসি-মন্দবাসি। কখনও কখনও সুখকে ছাপিয়ে দুঃখরা দীর্ঘমেয়াদী গল্প লিখে যায় কবিতার শরীরে। সুখও সময় পেরোলে বিষাদ হয়ে ওঠে, হঠাৎ গাছ থেকে একটি হলুদ ফুলের ঝরে পড়া মুহূর্তের মতো যাকে আমরা
” বিচ্ছেদ ” বলে ডাকি। কোন এক বৃষ্টিস্নাত রাতে আকাশের দিকে তাকালে হঠাৎ বুকের বামে দস্তক দেয় সন্ধ্যাতারা বা দুঃখবিলাসী ফুল । যে ফুলের ঘ্রাণ আজন্ম লেগে থাকে বুকের বামে থাকা পৃথিবীর সকল প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার গায়ে। তাইতো কবিতাই প্রেম, কবিতাই বিরহ, কবিতাই জীবন গল্পের কথা বলে। কখনও বা এই বিচ্ছেদ বা বিরহ ‘ইবাদতের অশ্রু’ হয়ে ওঠে –

” আমার কাছে ভালোবাসাটা ছিলো আমার ‘ইবাদত’
আর আপনার কাছে ছিলো শুধুই ‘সময়ের প্রয়োজন’,
যা সময়ের পরিক্রমায় ম্লান হয়ে গেছে –
হয়তো হারিয়েও গেছে
অথচ আমি আজও রোজ জায়নামাজে বসে ইবাদতের অশ্রু জমা রাখি। ”

“বৃষ্টির চোখে জল” লেখিকা এ্যানি আক্তারের ৫ম বই। লেখিকার পূর্বের বইগুলো হচ্ছে জলকাব্য, মোহমায়া, আমার শুধু এই তুমিটাই চাই, দুঃখ আমার পদ্মপাতার জল। জলকাব্য, মোহমায়া এবং আমার শুধু এই তুমিটাই চাই বই তিনটি বইমেলার রেনেসাঁ পাবলিকেশনের স্টলে পাওয়া যাবে।

—নিজস্ব প্রতিবেদক

  • Related Posts

    “ইইজি স্ক্যান চলাকালীন মারা যান পেশেন্ট।”

    পেশেন্টের বয়স ৮৭ বছর। মৃগী রোগে আক্রান্ত। চলছিল ইলেকট্রো-এন-সেফালোগ্রাফি বা ইইজি। স্ক্যান চলা অবস্থায়ই হার্ট-অ্যাটাক করেন পেশেন্ট। মৃত্যু হয় তার। ৯০০ সেকেন্ড ইইজি স্ক্যানিং চলে। তবে মস্তিষ্কের উল্লেখযোগ্য আচরণ দেখা…

    “আমার ধারণা, বাঙালি শব্দটির উৎপত্তি ঘটেছে ব্যাঙ থেকে” এ অঞ্চলে প্রচুর জলা ও নিম্নভূমি ছিলো, যেগুলোতে বাস করতো কোটি কোটি ব্যাঙ। ব্যাঙ থেকে ব্যাঙোল, ব্যাঙোল থেকে বাঙালি।

    ব্যাঙের সাথে আমাদের চারিত্রিক মিল বিস্ময়কর। ব্যাঙ লাফিয়ে লাফিয়ে চলে, আমরাও লাফিয়ে লাফিয়ে চলি। টিভি খুললেই শুনতে পাই— লাফিয়ে লাফিয়ে আমাদের উন্নতি হচ্ছে। লাফ ছাড়াও যে ধীরে ধীরে আগানো যায়…

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *