রাশিদুল হাসানের নতুন কবিতা: “কালান্তরের দায়”

কালান্তরের দায়?
যে যাতনার একপাশে সুখের পলিমাটি;
বিনিদ্র রজনী’র আত্মিক আলোড়ণে
প্রজনন বাড়ায়? কালান্তরের দায়!
শান্ত রাতের গায়ে- হাসনাহেনার সুবাস ছড়ায়-
অসময়ে ডুবে যাওয়া সূর্য, ফুরিয়ে যাওয়া ব্যর্থতাকে প্রহসন জানায়?

জীবনের ক্লান্তি কমিয়ে শতবর্ষী ব্যর্থতারা এককক্ষ বিশিষ্ট দ্বি-পাক্ষিক গল্প শোনায়?- ভীষণ চেনা মনে হয়; যেন পেরিয়ে এসেছে মহাকাল এমন সহস্র পরাজয়-

সুদক্ষ যন্ত্রণা, মৌনতার প্রেমিক হয়ে ওঠা- পাষাণ পাথরে শ্যওলা জমে- কচুরিপানার ফুল হয়। বুনিয়াদি নারিকেল; বাতাবি লেবু হয়;
অস্তিত্বের টানে টান পড়লে; অসম্ভব মাত্রার ভূ-কম্পন হয়, স্লাইকোন হয়! মায়া নয়, মননের দূর্বাঘাসে লতাপাতার ফাঁকে-
ছোট্ট একটা সাদা ফুল হয়?

অসহ্য ঝড় শেষে; যদি সুগন্ধের মৃদু কলোতান
বুকের ক্যালেন্ডারে লাল চিহ্নে’র নিছিদ্র নিরাপত্তা হয়? সে তো মানচিত্রের জয়!
সবশেষে পাগলেরা এক হয়!
অশান্ত পথিকে’রা যোগ হয়, বধ হয়-
নিভে যাওয়া প্রদীপে, ভেসে আসা অশান্ত আগুনপাখি’র সন্নিবেশ হয় !!

শতাব্দীর শাণিত আলোকজ্যোতি;
সবার সাহসের সুউচ্চবাক্যে’র প্রলেপ
জটিলভাবে আক্রান্ত হয়?
-এ ও বুঝি কালান্তরের দায়?
নাকি জীবন নামের অসহ্য সুখে;
খুব বেশি দরদামে দূ:খ বিকিকিনি হয়? টানাহেচড়ায়- ‘দু:খ’ ভাগাভাগি হয়?
যারা যত দু:খ বুকে’র হিমালয়ে পুষে:
তারা তত নদী পায় !! ভেসে ভেসে সুখ সাগরের মোহণাও খুঁজে পায় ; লোকে মুখে তাকে-
সাফল্য! কেউ কেউ পূর্ণতা কয়?
আর এ ও কিছু না? কালান্তরের দায়- !!

রাশিদুল হাসান সুজন
১৬/০২/২০২৫ ইং
ঢাকা; রাত।

  • Related Posts

    দেবব্রত সরকার সুবীরের কবিতা

    শ্মশান এ জীবিত কেউ বেশি সময় থাকে না !! কাজটা শেষ করেই ঝটপট ফিরে যায়… তবে তুমি কেন? ফুল বাগান ভেবে নিয়ে থেকে গেলে মালি হয়ে?

    রাশিদুল হাসানের কবিতা

    সেই যে ছুঁয়েছিলাম তোমায়… তারপর আর নাগাল পাইনি কিছুতেই। তুমি বিহীন আক্রোশী পৃথিবী রাতদিন আমাকে চিবিয়ে খাচ্ছে রাক্ষসের মত করে। বেঁচে আছি নাকি মরে গেছি জানিনা! স্বপ্নের সূর্যোদয়? নাকি নিকষ…

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *