জানি না! ক্রমশ তোমার কাছে যাচ্ছি?
নাকি খুব ধীরে; দু’জনার দূরত্ব বাড়াচ্ছি?
কিছুই জানিনা?
জীবনের রং বে-রঙের পৃষ্ঠায়-
জারি-সারি-ভাটিয়ালী গানের মত
গভীর উর্বর মাটির টানে, মায়া ভরা গানে;
হৃদপিন্ডের শান্ত মহল, ডান-বাম অলিন্দ যুগলে
কার জন্যে? ছোট্ট একটা ঘর বানাচ্ছি?
কার-ই-বা অশ্রু ঝড়া স্বচ্ছ কাঁচে-
মাথা গুজার ঠাঁই খুঁজছি?
তোমাকে কি কোথাও ফেলে এসেছি?
আত্মার ধুক ধুক স্পন্দন থেকে,
শিহরণের অন্তমিল থেকে,
কেয়ারলেস ডিপ্রেশন-
দূর থেকে আরও দূরে ভাঁসিয়ে,
ডুবিয়ে দিচ্ছে সস্তা প্রেমের উপাখ্যান?
ভয় পাচ্ছি” কে জানি কখন এসে-
বুকে জমানো পাথরগুলি;
নিজের বলে জাপটে ধরে, যতনে গড়ে!
ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের আর্তি
শুনে, ফিসফিসিয়ে বলে ওঠে-
ও..কিছু না!
না সত্যিই জানি না!
কে জানি কখন? তোমার-আমার;
বন্ধনের বাহুডোরে পারদ রেখায় চিহ্ন আঁকে;
কোন সে নির্দয়-পাষাণ? কলিজা ছিঁড়ে- দুটি পরাণ বিচ্ছিন্ন করে; আলাদা রাখে?
আমার সাজানো রং তামাশার অক্ষরে
ভিন্ন সুখের প্রচ্ছদ গড়ে?
তোমাকে-আমাকে দূরত্বের দ্রাঘিমায়
লুকোচুরি খেলায় মত্ত রাখে?
নিলামে তোলে, দর-কষাকষিতে
চাওয়া-পাওয়ার টালি খাতা ছুঁড়ে ফেলে;
বিশুদ্ধ সুখের বিধান গড়ে।
দিনক্ষণ বুকের করিডোরে পাহাড়া বসিয়ে,
কে এসে হঠাৎ নিরব যাতনার কাব্য কবিতায়; বিষাদী মধুর আলিঙ্গন, বুনিয়াদি সুখের গল্প বলে?
কে? কখন? বুকের খুব কাছে বসে?
নিরলে, চুপিসারে-
পাইকর-বটের ছত্রছায়ায়, আবডালে-
আমাকে আমার চেয়েও কি সে…?
মোহনীয় মমতায় ঢের বেশি ভালোবাসে?