“দেশকে গ্লোবাল ম্যানুফেকচারিং হাব করতে চাই :আশিক চৌধুরী”

সংবাদ বিভাগ :রাজশাহী: আমরা বাংলাদেশকে গ্লোবাল ম্যানুফেকচারিং হাব করতে চাই। কবে বলতে পারবো, লক্ষ্য ১০ বছরের মধ্যে। পোর্টের জার্নির এমবিশন কিন্তু ৫-৬ বছরের মধ্যে ক্লোজ করা উচিত। চট্টগ্রামের সব পোর্ট ২০৩০-৩১ নাগাদ হয়ে যাওয়ার কথা। ১৯৯০ সালের দিকে চীনা পণ্যকে কোয়ালিটি ভালো বলতো না মানুষ। এখন পরিস্থিতি উল্টে গেছে। এটা রাতারাতি হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। সকালে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া টার্মিনাল, বে টার্মিনাল, ফ্রি ট্রেড জোন এলাকা এবং বন্দরের এনসিটির অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। দুপুরে তিনি রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন।

আশিক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদে গ্লোবাল ফ্যাক্টরি করতে চাই, গ্লোবাল ম্যানুফেকচারিং হাব করতে চাই। আমাদের একটা তরুণ প্রজন্ম আছে। তাদের ব্যবসা, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এটার জন্য আমাদের পোর্ট সিটি বা কমার্শিয়াল হাবকে ঠিকভাবে ডেভেলপ করতে হবে। ঢাকা হচ্ছে অফিশিয়াল রাজধানী। চট্টগ্রাম ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিকভাবে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম বিভাগে টোটাল ইন্ডাস্ট্রির ৩০-৪০ শতাংশ এখনই হয়। আমরা যে বড় বড় ইনিশিয়েটিভের কথা বলি, চায়না স্পেশাল ইকোনমিক জোন, মীরসরাই ইকোনমিক জোন, ফ্রি ট্রেড জোনের কথা বলছি সব চট্টগ্রামে। ম্যানুফেকচারিং পাওয়ার হাউসগুলো চট্টগ্রামে হবে। এর প্রধান কারণ চট্টগ্রামের বন্দরগুলো। বন্দরগুলোকে সাকসেসফুল করতে না পারলে সব মাস্টারপ্ল্যান ফেল হবে।

ভিয়েতনামে লজিস্টিক সাপোর্ট ভালো। আমাদের জায়গা কম। তাই সব বন্দরকে আমাদের শতভাগ সক্ষম করতে হবে, নয়তো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না। বন্দরের ডেভেলপমেন্ট শুরু হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। আমাদের বন্দরের শ্রমিকদের বিদেশি কোম্পানি প্রশিক্ষণ দেবে। আমাদের লেবারদের স্কিল লেবেল বাড়াতে পারলে বিশ্বের উন্নত বন্দরগুলোতে কাজ করতে পারবে। জাতীয় স্বার্থ ও প্রভাব বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করে ভালোভাবে বন্দর অপারেট করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল ইসলাম, ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উজ্জল হোসেন।
ব্যুরো প্রধান,রাজশাহী।

  • Related Posts

    “আওয়ামিলীগ নিষিদ্ধ না হওয়া অবধি যমুনায় অবস্থান কর্মসূচি হাসনাতের”

    সংবাদ বিভাগ : এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনের রাস্তা ঘেরাও করে আন্দোলন করছে হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একটি দল। সেখানে মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগকে দলীয়ভাবে…

    “যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নিষিদ্ধ হচ্ছে”

    সংবাদ বিভাগ :রাজশাহী: আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ কথা জানান। এর…

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *