পারিবারিক দন্ধের জের ধরে চন্দনাইশে স্বামীর ছোড়া অকটেনের আগুনে দগ্ধ হয়ে নাজমা আকতার নামে এক গৃহবধূ মারা গেছেন।
শুক্রবার রাত ৩টায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূ মারা যান।
এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক স্বামী আবদুল জব্বারকে শনিবার ভোররাতে হাশিমপুর পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিম নাজমা আকতারের ভাই তারেক বাদি হয়ে ঘটনার দিন রাতেই চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে হাশিমপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ হাশিমপুর বাউলিয়াপাড়া গ্রামে পারিবারিক বিষয়ে আবদুল জব্বারের সঙ্গে তার স্ত্রী নাজমা আকতারের ঝগড়া লাগে। এ সময় নাজমা রান্নাঘরে রান্না করছিলেন। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী আবদুল জব্বার বাড়িতে প্লাস্টিক বোতলে রাখা অকটেন এনে রান্নাঘরে স্ত্রীর দিকে ছুড়ে মারেন। এ সময় চুলার আগুন অকটেনে লেগে আগুন জ্বলে ওঠে। এতে নাজমা আকতারের শরীরের বিভিন্ন অংশ আগুনে ঝলসে যায়। বাড়ির সদস্যরা নাজমা আকতারকে দ্রুত দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠান।
দোহাজারী হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উর্মি চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, নাজমার শরীরের ৬০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। চেহারা পুড়ে কালো হয়ে গেছে। হাত, পা ও শ্বাসযন্ত্রসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টায় নাজমা মারা যান।
গৃহবধূ নাজমা বাউলিয়া পাড়া গ্রামের সেলিম উদ্দীনের মেয়ে। ঘাতক আবদুল জব্বার দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী এলাকার আব্দুছ ছালাম ওরফে আবদুলের ছেলে।
৬ থেকে ৭ বছর আগে সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। গত একমাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে নাজমা অভিমান করে দক্ষিণ হাশিমপুর বাউলিয়াপাড়া গ্রামে তার বাবার বাড়ি চলে আসেন। ঘাতক স্বামী আবদুল জব্বার তার শ্বশুরবাড়ি গিয়েই শুক্রবার রাতে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটায়।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমরান আল হোসাইন বলেন, তাকে আদালতে চালান দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ভেতরের খবর/চট্টগ্রাম প্রতিনিধি