অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল ‘ভেতরের খবরে’ কাজ শুরু করেছিলাম ইচ্ছের বৈরীতায় শুধু দীর্ঘদিন কবিতা ছাড়া অন্য কোন সাহিত্যে’র সঙ্গ-স্বাধ নেয়া থেকে বিরত থাকতাম ভীষণ বেরসিকভাবে। কতগুলো দিন পেরিয়ে গেছে দু-একটা মাঝেমধ্যে কবিতা ছাড়া তেমন কিছুই লিখিনি এমনকি নিয়মিত নিউজও না, সম্পাদকীয় তো দূরের কথা।
সম্প্রতিক সময়ের প্রেক্ষাপটে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়সের পশু সুলভ বিকৃত কিছু মানুষের যা ইচ্ছে তাই বলার যে অধিকার বাংলাদেশ এখনো বিদ্যমান। সেগুলো দেখেশুনে ক্ষেপেই যেতাম মাঝেমধ্যে। মানুষ কিভাবে এতটা অসচেতন হয়?
এইসব মিথ্যুকদের দেশের হালচাল নিয়ে কিছুুটা বিব্রত বোধ করায় মনে জমা হয়ে থাকা কিছু কথা খুব লিখতে ইচ্ছে করছিল দু’ চার লাইন। যদি কিছু লিখতে পারা যায়। আমার শিক্ষাজীবন মাস্টার্স শেষ করে কর্মজীবনের প্রথম যে পত্রিকায় জয়েন করেছিলাম সেখানকার কিছু কলিগ এই নিউজ পোর্টালটি স্টার্টআপ করবে এবং তাঁদের লালিত স্বপ্নের চারা গাছটিকে পরিচর্যার জন্য আমাকে বিশাল বড় দায়িত্ব দেয়। মাথা পেতে নিয়ে চেষ্টা করি সাধ্যমত।
তাঁদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ চিত্তে বলছি, দীর্ঘ পাঁচ ছয় বছর যোগাযোগ না থাকলেও আমাদের প্রত্যয়ের কথা মনে ছিল সবার, মেবি। তাইতো দরকারে ডেকেছে, প্রয়োজনে পাশে রেখেছে, অবাধ চিত্তে বলতে দিয়েছে। সুযোগ করে দিয়েছে কিছু চিৎকারের সন্নিবেশ ঘটনোর।
বাহ ভালই লাগতে লাগলো, জমে থাকা কিছু কথা লেখার লোভ সামলাতে পারলাম না। তবে আমি এতটাই অলস এ পর্যন্ত লিখেছি মাত্র তিন চারটি, কবিতাও আছে বটে। এই নয়া পোর্টালটি আমার ভেতরে’র ভেতরে চলে গেছে কখন জানি, ঠাঁই করে নিয়েছে স্পন্দনে। মিশে গেছে অন্তরের গারো নীল ধমনীতে, অস্তিত্বে’র অনাবিল শাব্দিক
বিহবলতা’র ফিরতি ডাকেও, কেউ তাকে পেছনে ফেরাতে পারেনি। ভেতরে’র সংকল্পে, ভেতরে ভেতরে শুদ্ধতায় পূর্ণ প্রতিটি মানুষের ধুকপুক বুকের সীমানায় একটুখানি ঠাঁই নেওয়ার প্রচেষ্টায় এ চেষ্টা।
তোমাকে বলছি?
তোমার, ভেতরে ভেতরে?
তোমার নিজের সাথে কি কথা হয়?
আমরা বলে দেব তোমাকে? উন্মুক্ত আকাশে উঠতে থাকা তোমার ইচ্ছে গুলোকে।
সমাজকে, সমাজের চিরন্তন নীতি আর নিয়মের বেরসিক ফাঁদ কে।
বাংলাদেশ সরকার আমাদের এই স্বল্প সময়ে প্রকাশিত পোর্টালটি’র নিউজ নজরে নিয়ে কিছু মহলের বিশেষ ব্যক্তিবর্গ আমাদের সাথে যোগাযোগ করে পোর্টালটি ভালো হচ্ছে বলে যে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, আমরা আপ্লুত, অনুপ্রাণিত।
এ আমাদের প্রতিশ্রুতি নয়, দৃঢ় মনে প্রত্যয় ব্যক্ত করছি…বুকের মাঝখানে শান্ত হাত দুটি রেখে ব্যক্ত করছি, নির্ভুল এবং তথ্যের যাচাই আমাদের মূল হাতিয়ার হয়ে থাকবে; অজস্র বছর, শতাব্দীর সেরা সংগ্রামে, মুক্তিতে, আন্দোলনে, মিছিলে, জয়ে, পরাজয়ে, শপথে, কম্পিত কন্ঠে’র বজ্র শিখায়, কন্ঠনালী ফেটে যাওয়া চিৎকারে, পঁচে গলে মরে যাওয়া লাশের অবশেষে। ভেতরে খুব ভেতরে থাকবে।
মূলত দু’তিন মাস ধরে পরীক্ষামূলক সংবাদ প্রচার করছি আমরা। অনেক ভুল ভ্রান্তি প্রতিটি সংবাদেই বিদ্যমান, সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। খুব শীঘ্রই আমরা নিজেদেরকে যতটুকু পারা যায় শুধরে নেবার চেষ্টা করবো। আমরা বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় কতৃক গৃহীত আইন অনুযায়ী তথ্য প্রচার সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করে দেশবিরোধী কোন কার্টুন, কনটেন্ট, সাধারণ কে বিভ্রান্ত করে এমন কোন গুজবের ওপর ভিত্তি করে (সত্যতা যাচাই না করে) কোন ধরনের নন রেপুটেড সংবাদপত্রের মনগড়া মুখরোচোক কোন নিউজ আগ্রহী হই না কখনো। প্রচার করি না যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেদের কাছে শতভাগ সত্যতা না মিলে।
বিরত থাকি, সতর্ক থাকি, সাধারণে প্রকাশ না করতে। দেশে বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া ভেতরের কিছু সত্য বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র স্বল্প সংখ্যক সাংবাদিক, প্রতিনিধি, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিয়ে, নিজেদের মেলে ধরেছি স্বল্পপরিসরে’ই, চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব। তথ্য মন্ত্রণালয়ে হলফনামা সহ বিভিন্ন রাজস্ব সংক্রান্ত কাগজপত্রের ফলাফল সন্নিকটে।
আমাদের পোর্টাল’ ভেতরের খবর’ অনুমোদন প্রত্যাশী আমরা আশা করছি অতি দ্রুত রেজিস্ট্রেশন সনদের কাজ সম্পন্ন করে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দক্ষ, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা তাঁদের স্বীয় দায়িত্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করবেন এবং আমাদের রেজিস্ট্রেশন সনদ বুঝিয়ে দিয়ে ধন্য করবেন । অত:পর, আমাদের বন্ধ চোখ পুরোটা খুলে তাকানোর সাহস পাবো নির্ভয়ে, নজর রাখবো খুব ভেতরে’র অনিয়মে, অশ্লীলতায়, অমার্জিত ভাযা ব্যবহার আর অশালীনতা’র গল্পে।
আমরা চর্চা করব মনুষ্য সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার সংকল্পে মানুষের পাশে, মানুষ মানুষের জন্য,
একজন মানুষের জন্য একজন মানুষের ভালোবাসা অপ্রতুল, যে ভালোবাসায় পবিত্রতার প্রস্ফুটিত মায়া প্রীতি অটুট বন্ধনে’র আত্ম-প্রেরণার আলোয় আলোকিত হবে আগামীর পৃথিবী’র জীবন সংসার ।
উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলতে থাকবে
এ যেন পৃথিবীর আলো জীবনের দুঃসময়ে জ্যোতির্ময়ী, সন্ধিক্ষণে
সম্পর্কের গুঞ্জন নয়?
সত্য এক প্রেমের কথা বলে।
খাঁটি গন্ধের স্নিগ্ধতা নিয়ে ভেসে আসা দক্ষিণা
বুকে পিঠে এসে আ চমকা লাগে,
ক্রমেই নিজেকে ছাড়িয়ে, অন্তহীন তোমার অভিমুখে চলে যাই, হারিয়ে যাই।
-রাশিদুল হাসান সুজন