অন্ধ প্রেমিক! এমন এক বিলুপ্ত-প্রায় অন্ধ প্রেমিকের কথা বলছি;
সে কারও মনে কোন রং দেখে না!
তার চোখে’র আকাশে ঠিকই রংধনু দেখে…
মায়া-হরিণী চোখের লেপটানো কাঁজল থেকে একটুখানি ভেজা কালি নিয়ে!
সদ্যজন্ম কবিতার প্রতিটি অক্ষরে মাখে।
দীর্ঘ এক বিকেল, ছন্দিত সন্ধ্যার শেষে,
ঘুম না আসা রাতে;
সে ঠিক চলে যায় তার পৌষালী কবিতার কাছে,
হীম বুকের খুব কাছে যায়;
বরফের মত ঠান্ডা হতে।
তারা জাগতিক স্পর্শে ডুবে না, দু’জনের শিহরণে’র উচ্ছৃংখল দাপট-
দেখেনি দু’জনার শরীর।
কত তারা জ্বলে জ্বলে ঝরে গেছে অভিমানে,
মৃদু স্পর্শ, ছুঁয়ে যাওয়া নেই,
পাশাপাশি চলা হয় না,
দূর থেকেও এক-নজর দু’জনার কখনও দেখা হয় না।
তবু,
নিশিদিন সে অন্ধ প্রেমিক’টি মনকে ভুলিয়ে রাখে,
কবিতার নিভৃত পল্লীর কর্কশ সুরেই কাছে ডাকে” তাকে কত কিছু লেখে;
লিখে যায়- অবিরত। অন্ধ প্রেমিকে’র প্রিয় মানুষটিও অন্ধ।
অতঃপর, একদিন তার মন রাঙিয়ে কবিতার ভেতরে লুকায়, লুকিয়ে যায়।
রোজ নিয়ম করে,
তার প্রতিটি বিরহী কবিতার শরীরে
কত’ই না? রং ঢং করে- চঙ্গড়ে, রং মাখায়!
-রাশিদুল হাসান সুজন