বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার- ফাইনাল লিস্টে তিনজনে’র নাম নেই

সংবাদ বিভাগ: তিনজনকে-বাদ-দিয়ে-বাংলা-একাডেমি-সাহিত্য-পুরস্কারপ্রাপ্তদের-নতুন-তালিকা
বাংলা একাডেমির প্রধান কার্যালয়। ফাইল ছবি

আগের তালিকা থেকে বাদ পড়া তিনজন হলেন সেলিম মোরশেদ (কথাসাহিত্য), ফারুক নওয়াজ (শিশুসাহিত্য) ও মোহাম্মদ হাননান (মুক্তিযুদ্ধ)।
পূর্বঘোষিত তালিকা থেকে তিনজনের নাম বাদ দিয়ে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি।

প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৩ জানুয়ারি ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪’ ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৫ জানুয়ারি তালিকাটি স্থগিত করা হয়।

সে সময় বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‌‘তালিকায় নাম থাকা কারও কারও বিষয়ে কিছু অভিযোগ আসায় সেটি স্থগিত করা হলো।’

বাংলা একাডেমি ওই দিন তিন কার্যদিবসের মধ্যে পুনর্বিবেচনার পর পুরস্কারের তালিকাটি পুনঃপ্রকাশ করার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।’

আগের তালিকা থেকে বাদ পড়া তিনজন হলেন সেলিম মোরশেদ (কথাসাহিত্য), ফারুক নওয়াজ (শিশুসাহিত্য) ও মোহাম্মদ হাননান (মুক্তিযুদ্ধ)।

চূড়ান্ত ঘোষণা অনুযায়ী, কবিতায় মাসুদ খান, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ/গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে রেজাউর রহমান ও ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদকে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।

এদিকে সাহিত্য পুরস্কারে লেখকদের তালিকায় কোনো নারী লেখক না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে এটিকে ‘বিস্ময়কর’ বলে মন্তব্য করে গত শুক্রবার ফেসবুকে পোস্ট দেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

এ পুরস্কারের জন্য ‘মনোনয়ন প্রক্রিয়া সংস্কারের সময় এসেছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার নীতিমালার চতুর্থ অধ্যায়ের নবম ধারা অনুযায়ী, নির্বাহী পরিষদ নতুন কাউকে পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করতে পারবে না এবং দশম ধারা অনুযায়ী, সুপারিশকৃত কোনো নাম বিবেচনা না করার ক্ষমতা ‘বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদ’ সংরক্ষণ করে।

  • Related Posts

    “ইইজি স্ক্যান চলাকালীন মারা যান পেশেন্ট।”

    পেশেন্টের বয়স ৮৭ বছর। মৃগী রোগে আক্রান্ত। চলছিল ইলেকট্রো-এন-সেফালোগ্রাফি বা ইইজি। স্ক্যান চলা অবস্থায়ই হার্ট-অ্যাটাক করেন পেশেন্ট। মৃত্যু হয় তার। ৯০০ সেকেন্ড ইইজি স্ক্যানিং চলে। তবে মস্তিষ্কের উল্লেখযোগ্য আচরণ দেখা…

    “আমার ধারণা, বাঙালি শব্দটির উৎপত্তি ঘটেছে ব্যাঙ থেকে” এ অঞ্চলে প্রচুর জলা ও নিম্নভূমি ছিলো, যেগুলোতে বাস করতো কোটি কোটি ব্যাঙ। ব্যাঙ থেকে ব্যাঙোল, ব্যাঙোল থেকে বাঙালি।

    ব্যাঙের সাথে আমাদের চারিত্রিক মিল বিস্ময়কর। ব্যাঙ লাফিয়ে লাফিয়ে চলে, আমরাও লাফিয়ে লাফিয়ে চলি। টিভি খুললেই শুনতে পাই— লাফিয়ে লাফিয়ে আমাদের উন্নতি হচ্ছে। লাফ ছাড়াও যে ধীরে ধীরে আগানো যায়…

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *