“রাশিদুল হাসানের কবিতা”

এক নবান্ন উৎসবে মেঘদূতের কাছে চিঠি পাঠালো আমার শ্যাম-
রংধনু সন্ধ্যায় ফ্যাকাশে খামের চিঠিটি পড়া হল না।

যত অভিযোগ অভিমান,
সময়ের ধূলিতে অকারণ ডুবে যায়-
ধুয়ে যায় নীরব নদীর মত ধীরে,
ধূসর সন্ধ্যায় মুছে যায় প্রেমাক্ষর!
বিসর্জনের ব্যাসহীন কালিমাচত্বর।

নিরেট অন্ধকারে,
শ্যামের চিঠি আর পড়া হল না।
সহস্র আষাঢ়, শ্রাবণ আসে যায়;
ক্রমশ ভারি হয়ে ওঠে চোখের পাতা,
কই শ্যামের চিঠি তো আর আসে না!
হ য় ত
আমার ঠিকানা খুঁজে পায় নাই;
বুমেরং আঘাতে,
দগ্ধ অক্ষরের অস্পষ্ট লাইনগুলি ছিন্নভিন্ন!!
শ্যামের সে ঝাপসা চোখ,
কখনও আর সাজিয়ে ঠিকানাটি পড়তে পারে নাই!

  • Related Posts

    রাশিদুল হাসানের নতুন কবিতা: “কালান্তরের দায়”

    কালান্তরের দায়? যে যাতনার একপাশে সুখের পলিমাটি; বিনিদ্র রজনী’র আত্মিক আলোড়ণে প্রজনন বাড়ায়? কালান্তরের দায়! শান্ত রাতের গায়ে- হাসনাহেনার সুবাস ছড়ায়- অসময়ে ডুবে যাওয়া সূর্য, ফুরিয়ে যাওয়া ব্যর্থতাকে প্রহসন জানায়?…

    দেবব্রত সরকার সুবীরের কবিতা

    শ্মশান এ জীবিত কেউ বেশি সময় থাকে না !! কাজটা শেষ করেই ঝটপট ফিরে যায়… তবে তুমি কেন? ফুল বাগান ভেবে নিয়ে থেকে গেলে মালি হয়ে?

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *