সংবাদ বিভাগ: মোদী প্রশাসনের উপর ফুসে উঠেছে ভারতীয়রা, মোদী হটাও দেশ বাঁচাও স্লোগানে মুখর ভারতের দিল্লি, ভারতীয় প্রায় সর্বশ্রেণীর জনতা, কৃষক, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের মধ্যে তৈরি হয়েছে একটা চাপা ক্ষোভ। এর মূল কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে মোদি প্রশাসনের ভুলে ভারত হারাতে বসছে তাদের সব থেকে বড় আন্তর্জাতিক বণিজ্য বাজার। ভারতের দ্বিতীয় রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে ভারতের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসতো যার পরিমাণ প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার যা ভারতের গড় আয়ের একটা বড় অংশ। বেশিরভাগ সচেতন মহল বলছে, বাংলাদেশ সাথে ভারতের শত্রুতা বাড়িয়ে কোন লাভ নেই বরং ক্ষতি’ই বেশি। হাসিনা সরকারের পতনের পর হাসিনাকে আশ্রয়- প্রশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কোটের ডাক উঠেছে।
বাংলাদেশের দোকানগুলো থেকে ভারতীয় পণ্য কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না ক্রেতারা, প্রায় সব দিক থেকেই ভারত এখন ব্যাপক চাপে পড়েছে, সাধারণ ব্যবসায়ী ও কৃষকদের অভিযোগ মোদির ভুল কূটনৈতিক কৌশল ও তার পোষা মিডিয়া বাংলাদেশকে নিয়ে মিথ্যে অপপ্রচার, শুভেন্দু’র কুটুক্তির কারণে বাংলাদেশর সাথে ভারতের সম্পর্ক একদম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, আর এমন পরিস্থিতির কারণে মোদির ওপর ফুসে উঠেছে কলকাতা সহ গোটা ভারতবর্ষ। আসন্ন নির্বাচনে মোদি সরকারের পতন চাইছে সর্বমহলের ভারতীয়রা। সম্প্রতি এক সাংবাদ সম্মেলনে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন আমরা চাই দেশে গণতন্ত্র বেঁচে থাকুক তাই নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরাতে হবে। এরই মধ্যে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোদী হটাও দেশ বাঁচাও স্লোগানে রাস্তায় নেমেছে ভারতীয়রা।
তাঁদের দাবি নরেন্দ্র মোদি গণতন্ত্র লুন্ঠনের সাথে সাথে সাম্প্রদায়িক মানসিকতাকে উস্কে দিয়েছে। এরই মধ্যে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে হটানোর জন্য পোস্ট’র, প্লে কার্ড হাতে রাস্তায় নেমেছে জনসাধারণ। আর এই আন্দোলনের লেলিহান শিখা ইতিমধ্যে পৌঁছে দিয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মহল আশঙ্কা করছেন অতি দ্রুত সাম্প্রদায়িক ও ফ্যাসিস্ট মোদি’র পতন সুনিশ্চিত এবং কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে বলে ধারণ করা হচ্ছে।