সংবাদ বিভাগ: আজ ৩১ তারিখ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের “মার্চ ফর ইউনিটি” সফলভাবে সংঘটিত হয়েছে। সারাদেশ থেকে বাসে করে দলে দলে এই কর্মসূচিতে যোগদান করেছেন দেশের ছাত্র সমাজ। প্রথমবারের মত সারা দেশের ১৫৮ জন সমন্বয়ক একই সাথে মঞ্চে বসা ছিলেন।
গত ২৭ ই ডিসেম্বর বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সমস্ত সদস্য এক সাথে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ৩১ ই ডিসেম্বরে “মার্চ ফর ইউনিটি” ঘোষণা করেন। তিনদিনের মধ্যেই সারাদেশ থেকে ছাত্র জনতা এবং নাগরিক কমিটির সদস্যরা শহীদ মিনারে আজ জমায়েত হয়। এখান থেকেই এক সাথে স্লোগান তোলে “এই মূহুর্তে দরকার-বিচার আর সংস্থার”।
মার্চ ফর ইউনিটি এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো ” জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া এবং মুজিববাদী সংবিধানকে পরিবর্তন করা “। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্যদের সমন্বয়ে আজকে বিকেল ৩ টা থেকেই শহীদ মিনারে জনতার সমাবেশ সংঘটিত হয়।
এখানে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুলাহ, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, নির্বাহী সদস্য রিফাত রশীদ, চট্রগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত এবং শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকেও বক্তব্য রাখা হয়।
হাজারো জনতার উত্তাল শহীদ মিনারে সকল নেতাদের একটাই ঘোষণা ছিলো, জুলাইয়ের প্রেরণাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বরণ করে নিতে হবে। অনুষ্ঠানের শেষে হাসনাত আব্দুল্লাহ শেষ বক্তব্য পেশ করে নতুন বছরের ১৫ তারিখের মধ্যেই সরকারকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
—নিজস্ব প্রতিবেদক