দীর্ঘ রাত পেরিয়ে ঘুম ভাঙে
কুয়াশা নিমজ্জিত পৃথিবীর,
শরীর ছুুঁতে আসে গগন বিদারী
আলোক জ্যোতি।
লেনা-দেনা’র উল্লাসী হাওয়া বুকে,
কতই না দরদী আবেশে ভেসে চলে মানুষ।
শত-স্বপ্ন হারিয়ে যায়, পুড়ে যায় ঘৃণায়।
মানুষ হয়ে ওঠে মানুষ, ফুলে’র মত ফোঁটে।
দিনরাত মানুষ হারাচ্ছে মানুষ,
খুঁজে পায়ও…বটে,
বুকে’র তলে বেঁধে রাখে, পুষে রাখে,
বুকের কাছের মানুষ যত !!
প্রতিদিন তবে মিটে যায়,
হৃদয়ে জমে থাকা তৃষিত আবেগ তত।
মানুষ বছর-দিন, প্রতিটি মাসে,
প্রতি ঘন্টায়, সেকেন্ডে’র শেষে
ফেলে আসে মানুষ, ফেলে রেখে আসে,
বেদনার বালুচরে একা দিনশেষে।
হারিয়ে, পুড়িয়ে সে কি পায়?
হারানো’র শোকে, জলন্ত বুকে
পুড়ে যাওয়া স্বপ্নের কালিমা ধুয়েই
কি প্রতিটি সকাল হয়?
নাকি আশাহত লুন্ঠিত বুকের বিন্যাসী পারদে,
যন্ত্রণা’র পলি-পল্লবে ভরে ওঠে?
বুকের জমি উর্বর হয়?
সে উর্বর-অনাবাদী মাটিতে গাছ হয়,
সে গাছে গোলাপ ফোঁটে;
আশ্চর্য এক ভালোলাগা’র গন্ধে,
সাজানো ডানায় প্রজাপতি আসে,
বৃষ্টি আসে, পাতার ফাঁকে লুকোচুরি রোদ আসে, মাতাল করা দক্ষিণা বাতাস আসে।
শুধু তুমি আসো না!
কখনও আসো না তুমি…
শিশির ভেজা নরম কুয়াশা’র শীতে
খুব সকালে ফুটে থাকা গোলাপ,
আঁচলে বেঁধে নিতে, তুলে নিতে!
– রাশিদুল হাসান সুজন